এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র একবারের জন্য উমরাহ্ করা যায় এবং নবিজির রওজা জিয়ারতে যাওয়া যায় – যা আমরা ভিসা করার সময় প্রি এপয়েন্টম্যান্ট নিয়ে দিব।
এখন পর্যন্ত মাসজিদুল হারামে এবং মাসজিদুল নববীতে সব নামাজ জামাতে আদায় করা যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, মাসজিদুল হারামে নামাজের জন্য প্রবেশের সময় আমাদের সৌদির এজেন্ট কর্তৃক দেয়া ব্যান্ড হাতে পরিহিত থাকতে হবে এবং মাসজিদুল নববীতে নামাজের জন্য প্রবেশের সময় Tawakkalna Apps মোবাইলে ইন্সটলড এবং রেজিস্টার্ড থাকতে হবে।
জি, এখন পর্যন্ত বাধ্যতামূলক। সৌদি আরব কর্তৃক অনুমোদিত ভেক্সিনগুলো হল – ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আর কারো যদি সিনোভ্যাক অথবা সিনোফার্ম-এর কোনটি নেয়া থাকে তবে তাঁকে সৌদি আরবের অনুমোদিত ভেক্সিনগুলোর যে কোন একটির বুস্টার ডোজ নিতে হবে । উল্লেখ্য যে, ফুল ডোজ ভেক্সিন দেয়ার ১৪ দিন পর ট্রাভেল করতে হবে।
এখন পর্যন্ত সৌদি আরব কর্তৃক প্যাকেজ ক্যান্সিলেশন পলিসি অনুযায়ী প্যাকেজ কনফার্ম বা বুকিং করা হয়ে গেলে ইহা ক্যান্সিল করা যাবে না বা অন্য কারো নামে ট্রান্সফার করা যাবে না, অর্থাৎ সম্পূর্ণ টাকা অফেরৎযোগ্য। তবে এয়ার টিকেটটি নতুন তারিখে রি-ইস্যু করা যেতে পারে বা রিফান্ডও করা যেতে পারে – যা এয়ারলাইন্স এর পলিসির উপর নির্ভরশীল (চার্জ প্রযোজ্য) ।
সৌদি আরবের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৮ বছরের নিচে কেউ উমরাহ্ ভিসা পাবেন না (পুরুষ / মহিলা) এবং ১৮ বছরের উর্ধে যে কোন বয়সের যে কেউ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত লাগছে না।
না, পারবেন না, সাথে মাহারাম পুরুষ ছাড়া আমরা ভিসা করতে পারবো না।
ইচ্ছামতো, এরকম কোন বিধিনিষেধ নেই।
ভাই-এর মত ৫ জন – সহদর ভাই, দুধ-ভাই, নিজ দাদা, নিজ নানা, নিজ নাতি ।
ছেলের মত ৫ জন – ছেলে, দুধ-ছেলে, আপন ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা), আপন বোনের ছেলে (ভাগিনা) ও মেয়ের জামাই।
সিঙ্গেল পুরুষের ক্ষেত্রে ইহা সবসময় সম্ভব হয়না। আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করে জেনে নিন – +8801811-120112। তবে ৪০ বছরের নিচে পুরুষরা অন্য মহিলার মাহারাম হয়ে যেতে পারবেন, যেমনঃ স্বামী-স্ত্রি, বাবা-মেয়ে, ভাই-বোন ইত্যাদি।
জি, পেতে পারেন। প্রয়োজনে কল করুন +8801811-120112
জি, যেতে পারবেন ইং-শা-আল্লাহ্, তবে প্যাকেজ মূল্য পরিবর্তন হতে পারে।
জি পারবেন ইং-শা-আল্লাহ্ তবে একটু নিয়ম কানুন আছে। পাসপোর্টে যদি বাংলাদেশের ভিসা থাকে তবে কোন সমস্যা নেই,যদি NO VISA REQUIRED সিল থাকে তবে বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে এবং মাঝে মাঝে মেইন কপিও এম্বাসিতে শো কোরতে হয়, আর ভ্রমণ করার সময় আপনার এম্বাসি থেকে NOC নিতে হবে।
না পারবেন না, মাহারামের হতে হলে সর্বনিম্ন বয়স ১৭ বছর হতে হবে (পাসপোর্ট অনুযায়ী)। উল্লেখ্য যে, সৌদি আরবের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৮ বছরের নিচে কেউ উমরাহ্ ভিসা পাবেন না।
সাধারনত ডিসেম্বর / জানুয়ারির দিকে ।
যদি উক্ত পুরুষ ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সব মহিলাদের মাহারাম পুরুষ হন তবে যেতে পারবেন, অন্যথায় নয়।
ঢাকার বাইরে শুধু জামালপুরে শাখা আছে।
(১) ইহরাম বাঁধা।
(২) তাওয়াফ করা
(৩) সাঈ করা।
উল্লেখ্য যে, এ রুকনগুলোই উমরার ফরয।
(১) ইহরামের কাপড় পরে উমরার নিয়ত করার কাজটি মীকাত পার হওয়ার আগেই করা।
(২) ‘সাফা ও মারওয়া’ এ দু’টি পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে সাঈ করা। কিছু আলেম একে রুকন অর্থাৎ ফরয বলেছেন।
(৩) চুল কাটা (মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা)।
উমরা বৎসরের যেকোন মাস, যে কোন দিন ও যে কোন রাতে করা যায়। তবে ইমাম আবু হানীফার মতে আরাফাতের দিন, কুরবানীর দিন এবং আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন উমরা করা মাকরূহ।
হানাফী ও মালেকী মাযহাবে উমরা করা সুন্নাত। আর শাফী ও হাম্বলী মাযহাবে উমরা করা ফরয। অর্থাৎ যার উপর হজ্জ ফরয তার উপর উমরাও ফরয।
(ক) উমরার সময় বলবেন-
لَبَّيْكَ عُمْرَةً অথবা বলবেন, اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً
(খ) হজ্জের সময় :
لَبَّيْكَ حَجًّا অথবা বলবেন, اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ حَجًّا।
(গ) উমরা ও হজ্জ একত্রে করলে
বলবেন- لَبَّيْكَ حَجًّا وَعُمْرَةً।
(ঘ) বদলী হজ্জের সময় ‘লাব্বইকা …’ পক্ষ থেকে। لَبَّيْكَ عَنْ (فلان)
যারা প্রথমে উমরা করবেন এবং ৮ই যিলহজ্জ তারিখে হজ্জ করবেন তারা মীকাত থেকে শুধুমাত্র উমরার নিয়ত করবেন। উমরা ও হজ্জের নিয়ত একত্রে করবেন না।
নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত হলে হজ্জ ও উমরার ক্ষেত্রে নিয়ত উচ্চারণ করার বিধান কি?
আলহামদুলিল্লাহ।
শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন:
নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত। সজোরে নিয়ত পড়া কঠিন গুনাহ। সুন্নাহ হচ্ছে- মনে মনে নিয়ত করা। কারণ আল্লাহ তাআলা গোপন ও সঙ্গোপনের সবকিছু জানেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “বলুনঃতোমরাকিতোমাদেরধার্মিকতাআল্লাহকেঅবহিতকরছ? অথচভূমণ্ডলে ও নভোমণ্ডলে যাকিছুআছেসব আল্লাহজানেন।আল্লাহসর্ববিষয়েসম্যকজ্ঞাত।”[সূরা হুজুরাত, আয়াত: ১৬]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কিংবা তাঁর সাহাবীবর্গ কিংবা অনুসরণযোগ্য ইমামদের থেকে ‘নিয়ত উচ্চারণ করা’ সাব্যস্ত হয়নি। সুতরাং জানা গেল যে, এটি শরিয়তে সিদ্ধ নয়। বরং নবপ্রচলিত বিদআত। আল্লাহই তাওফিকদাতা।[ইসলামী ফতোয়াসমগ্র (২/৩১৫)]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে নামায, তাহারাত (পবিত্রতা), রোজা কিংবা অন্য কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে নিয়ত উচ্চারণ করা বর্ণিত হয়নি। এমনকি হজ্জ-উমরার ক্ষেত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন না যে, ‘আল্লাহু্ম্মা ইন্নি উরিদু কাযা ওয়া কাযা…’ (অর্থ- হে আল্লাহ, আমি অমুক অমুক আমল করার সংকল্প করেছি…)।
আল্লাহই ভাল জানেন। এটি না নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল থেকে সাব্যস্ত হয়েছে; আর না তিনি তাঁর কোন সাহাবীকে এটা উচ্চারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু এতটুকু পাওয়া যায় যে, দুবাআ বিনতে যুবাইর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জানালেন যে, তিনি হজ্জ করতে চান; তবে তিনি অসুস্থ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তুমি হজ্জ শুরু কর এবং এ শর্ত করে নাও যে, ‘মাহিল্লি হাইছু হাবাসতানি’ (অর্থ- আপনি যেখানে আমাকে আটকে রাখেন আমি সেখানে হালাল হয়ে যাব)। তখন তুমি তোমার রবের সাথে যে শর্ত করেছেন সে শর্ত মোতাবেক হালাল হতে পারবে। এখানে মৌখিক উচ্চারণের বিষয়টি এসেছে যেহেতু হজ্জটা মানতের মত। মানত মৌখিক উচ্চারণের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। কেননা কোন লোক যদি মনে মনে মানতের নিয়ত করে তাহলে সে মানত সংঘটিত হবে না। যেহেতু হজ্জ পরিপূর্ণ করার দিক থেকে মানতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ্জ শুরু করার সময় এই বাক্য বলে মৌখিকভাবে শর্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন: “ইন হাবাসানি হাবেস ফা মাহিল্লি হাইছু হাবাসতানি” (অর্থ- যদি কোন প্রতিবন্ধকতা দ্বারা আমি আটকে পড়ি তাহলে যেখানে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছি সেখানে হালাল হয়ে যাব)।
পক্ষান্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে যে এসেছে, “আমার নিকটে জিব্রাইল এসে বলেন: আপনি এই মোবারকময় উপত্যকায় নামায আদায় করুন এবং বলুন: “উমরাতান ফি হাজ্জা” (অর্থ- উমরাসহ হজ্জ) কিংবা “উমরাতান ওয়া হাজ্জা” (অর্থ- হজ্জ ও উমরা)। এর মানে এ নয় যে, তিনি নিয়ত উচ্চারণ করেছেন। বরং এর অর্থ হচ্ছে- তিনি তাঁর তালবিয়ার মধ্যে হজ্জের প্রকারটি উল্লেখ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ত উচ্চারণ করেননি।[ইসলামী ফতোয়াসমগ্র (২/২১৬)]
উপরে বর্ণিত চতুর্থ মীকাত ‘ইয়ালামলাম’ নামক স্থান থেকে। আকাশ পথে বিমান যখন উক্ত মীকাতে পৌছে তখন ক্যাপ্টেনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, তখনই ইহরাম বাধবে অর্থাৎ নিয়ত করবে। ঢাকা থেকেও ইহরামের কাপড় পরে যাওয়া যায়। তবে নিয়ত করবেন ‘মীকাতে’ পৌঁছে বা এর পূর্বক্ষণে। মনে রাখতে হবে যে, ইহরাম বাঁধা ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা যাবে না। ইহরাম বাঁধার অর্থ হল ইহরামের কাপড় পরে উমরা বা হজ্জের নিয়ত করা
এটা হারাম। তবে শুধুমাত্র চাকুরী, ব্যবসা, চিকিৎসা, পড়াশুনা, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে বেড়ানো বা অন্যকোন কারণে মক্কা শরীফ প্রবেশ করলে ইহরাম বাঁধা জরুরী নয়। কিন্তু ইহরাম পরে উমরা করে নিলে ভাল হয়। দলীল :
فَهُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ لِمَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ
চাদরের মত দু’টুকরা কাপড় একটি নীচে পরবে। দ্বিতীয়টি গায়ে দিবে। কাপড়গুলো সেলাইবিহীন হতে হবে। পরিচ্ছন্ন ও সাদা রং হওয়া মুস্তাহাব। ৩য় আর কোন প্রকার কাপড় গায়ে রাখা যাবে না। যেমন টুপি, গেঞ্জি, জাইঙ্গা বা তাবীজ কিছুই না। তবে শীত নিবারণের জন্য চাদর ও কম্বল ব্যবহার করতে পারবে।
মেয়েদের ইহরামের জন্য বিশেষ কোন পোষাক নেই। মেয়েরা সাধারণত : যে কাপড় পরে থাকে সেটাই তাদের ইহরাম। তারা নিজ ইচ্ছা মোতাবেক ঢিলেঢালা ও শালীন পোষাক পরবে। তবে যেন পুরুষের পোষাকের মত না হয়। এটা সাদা বা অন্য যে কোন রঙের হতে পারে।